Follow us on Facebook

কুকুরের কৃমির চিরস্থায়ী সমাধান

 

কুকুরের কৃমিনাশক                        

( Deworming for dogs) 


আপনার কুকুরটি কি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে, কালো রঙের পায়খানা করছে,শরীর এ রক্ত কমে যাচ্ছে, পেটটা নিচের দিকে ঝুলে পড়ছে, তাহলে চিন্তা করবেন না, আমি আপনাকে বলব এই লেখাটি পুরো পড়ুন, আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং আপনার কুকুরটি  তার সাস্থ্য ধীরে ধীরে ফিরে পাবে । 

Deworming for dogs


কৃমিনাশক ( Deworming)  কী ? 


কুকুরের পেটে ও চামড়াতে অনেক কৃমি ও পোকা থাকে, সেই সব পোকা ও কৃমি গুলোকে মারাই হলো

কৃমিনাশ ( deworming) । 



কৃমি কয় প্রকার ও কী কী ? 

কৃমি সাধারণত ৩ প্রকারের হয় , সেগুলি হলো - 

গোলকৃমি , ফিতাকৃমি ও চ্যাপ্টা কৃমি । 


শরীর এ কৃমি থাকলে কী কী লক্ষণ দেখা যাবে ? 


আপনি আপনার কুকুরটিকে সময়মত কৃমির ঔষধ না খওয়া লে 


১.আপনার কুকুরটি দিন দিন রোগা হয়ে যাবে, 


২.কালো রঙের পায়খানা করবে, 


৩.শরীর এ রক্ত কমে যাবে , 


৪.পেটটা নিচের দিকে ঝুলে যাবে , 


৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে , 


৬. কুকুরটির খিদে কমে যাবে, 


৭. আপনারা কুকুরটি কম সক্রিয় হয়ে যাবে , 


৮. কুকুরটি পেটে ব্যাথা অনুভব করবে , 



কৃমিনাশক এর প্র়োজনীয়তা কী ? 


আপনার কুকুরটিকে কৃমির ঔষধ না দিলে আপনার কুকুরটির পেটে কৃমির সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে ফলে আপনি আপনার কুকুরটিকে যা খাবার দেবেন সেটি পেটে বসে থাকা কৃমি গুলো খেয়ে নেব তাই আপনার কুকুরের প্রয়জনিও প্রুষ্ঠিগুলো সে পাবে না এবং সে দিন দিন রোগা হতে থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে । আবার কৃমি গুলো শরীর থাকে রক্ত চুষে নিতে থাকে ফলে শরীর এ রক্তুল্পতা দেখা দেবে । মাঝে মাঝে পায়খানা এর সঙ্গে জমে থাকা রক্ত বেরিয়ে আসে ফলে পায়খানা টা কালো রঙের হয় । অর্থাৎ এই সব সমস্যা থেকে আপনার কুকুরটিকে যথা সময় কৃমির ঔষধ খাওয়ানো খুব দরকরী । 


কীভাবে কুকুরের শরীর এ কৃমিগুলো প্রবেশ করে ? 


১. যে খাবার গুলো খেতে দেন সেই খাবারের মাধ্যমে কৃমির ডিম গুলি কুকুরের শরীর এ প্রবেশ করে। 


২ . খাবার জলের মাধ্যমেও ডিম কুকুরের শরীর এ প্রবেশ করতে পারে । 


৩. যখন আপনি আপনার কুকুরটিকে বাহিরে ঘুরতে বা পায়খানা করার জন্যে নিয়ে যান তখন কুকুরটি তার আশেপাশের জায়গাটায় জিভ দিয়ে চাটতে থাকে এর ফলে সেই জায়গাতে যে কৃমির ডিম গুলি থাকে সেগুলো কুকুরের শরীর প্রবেশ করে । 


৪. যে জায়গাটায় খেতে দেন সেটার মাধ্যমেও কুকুরের শরীর এ প্রবেশ করতে পারে।


৫. কুকুরের থাকার জায়গাটা পরিষ্কার না করলেও কুকুরের শরীর এ কৃমি হয়ে থাকে। 



আরো পড়ুন : কুকুরের parvo virus রোগ ।

কত বয়সে আপনার কুকুর ছানা টিকে প্রথম কৃমির ঔষধ খায়াবেন ? 


আপনার কুকুর ছানাটির বয়স যখন ২ সপ্তাহ হবে তখন তাকে প্রথম কৃমির ঔষধ দিতে হবে । 

Deworming for dogs


কুকুরকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর সঠিক সময় সূচি কী ? 


আপনি আপনার কুকুর ছানাটিকে প্রথম ২ সপ্তাহ বয়স এ কৃমির ঔষধ খাওনার পর প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর কৃমির ঔষধ খায়াতে হবে ৩ মাস বয়স পর্যন্ত । 


৩ থাকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত ১ মাস অন্তর কৃমির ঔষধ খায়তে হবে । 


৬ মাসের পর থাকে বাকি সারা জীবন ৩ মাস অন্তর কৃমির ঔষধ খাওয়ানো দরকার । 


কৃমিনাশক এর জন্য কোন কোন ঔষধ খাওয়ানো দরকার ? 


বাজারে অনেক ধরনের কৃমির ঔষধ পায়ও যায় , তবে আমি এখানে কতো গুলো বহু প্রচলিত ঔষধ এর নাম বলবো - 


৩ মাস বয়স পর্যন্ত বচ্ছা টিকে সিরাপ বা সাসপেনশন দিতে হবে , যেমন  - 


১.Drontal puppy - যার মধ্যে Pyrental Embonate এবং Febental সল্ট থাকে । 

Drontal puppy syrup



২. Brandystar pup  - এর মধ্যে Pyrental Pamoate এবং Febental সল্ট থাকে । 


৩. Kiwof puppy - এর মধ্যে Pyrental Pamoate এবং Febental সল্ট থাকে । 


এই সিরাপ গুলোর ডোজ হলো ১ মিলি/ কেজি ওজন অনুযায়ী । 

অর্থাৎ কুকুর ছানাটির ওজন ৩ কেজি হলে ৩ মিলিগ্রাম সিরাপ খয়াতে হবে , ২.৫ কেজি ওজন হলে ২.৫ মিলিগ্রাম দিতে হবে । 


৩ মাসের পর থেকে এদের ট্যাবলেট খায়নো হয় যেমন - 


১. Drontal plus - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Embonate ও Febental সল্ট । 

Drontal plus



২. Eazypet - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Fenbendazole সল্ট ।


৩. Brandystar plus - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Febental সল্ট । 


৪. Kiwof plus - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Febental সল্ট । 


৫ . Worm trap - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Febental সল্ট । 


৬. Worm Stop - এর মধ্যে রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Febental সল্ট । 


এই ট্যাবলেট গুলোর ডোজ হলো ১ টি ট্যাবলেট প্রতি ১০ কেজি ওজনের জন্য । 

এছাড়া আরও এক ধরনের ঔষধ আছে 


৭.  Kiwof plus xl -  এর মধ্যেও রয়েছে Praziquental, Pyrental Pamoate ও Febental সল্ট । যার ডোজ হলো ১ টি ট্যাবলেট প্রতি ৩৫ কেজি ওজনের জন্য । 



কৃমির ঔষধ খায়নোর সময় যে বিষয় গুলো মনে রাখা দরকার - 


১. কৃমির ঔষধ সব সময় নির্ধারিত ডোজ এ  দেয়া উচিত । কখনোই নির্ধারিত ডোজ এর কম ডোজ এ কৃমির ঔষধ দেবেন না তাহেল সেই কৃমির ঔষধ টিতে কোনো কাজ হবে না । 


২. কৃমির ঔষধ সব সময় খালি পেটে খাওয়ানো দরকার । 


৩. গর্ভবতী কুকুরকে কখনো কৃমিনাশক ঔষধ দেবেননা । হয় সে গর্ভবতী হবার আগে বা বাচ্চা হবার পরে কৃমির ঔষধ দিন । 


৪. প্রতিবার একই সল্ট এর কৃমির ঔষধ ব্যাবহার করবেন না , প্রতিবার অন্য অন্য সল্ট এর ঔষধ ব্যাবহার করবেন । 


৫. কৃমির ঔষধ খাওয়ানো হলে সেটার সঠিক নথি রাখুন । 


৬. কৃমিনাশক ঔষধ খায়নার আগে প্রাণী চিকিৎসক এর সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন । 


কৃমির ঔষধ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া - 

কৃমির ঔষধ খাওয়ানো পর মাঝে মাঝে আপনার কুকুর ছানাটির খিদে কমে যেতে পারে, সেই ক্ষেত্রে আপনার কুকুরটিকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাবেন । 


তো , কিসের জন্যে অপেক্ষা করছেন , আজই আপনার কুকুরটিকে সার্টিফিকেটধারী প্রাণী চিকিৎসক এর কাছে নিয়ে গিয়ে কৃমিনাশক ঔষধ দিন এবং আপনার প্রিয় কুকুরটিকে প্রাণনাশক কৃমিদের হাত থেকে রক্ষা করুন । 




Post a Comment

0 Comments